শাহেদ মিজান, সিবিএন:
দুই দিনের যাত্রা শেষে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি তার বহর নিয়ে রোববার রাত ৮টা নাগাদ কক্সবাজার শহরে ঢুকেন। এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর রওনা হয়। খালেদা কক্সবাজারে পৌঁছায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।

আজ তিনি সার্কিট হাউসে অবস্থান করবেন। আগামীকাল সোমবার সকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করবেন এবং ত্রাণ বিতরণ করবেন।

শনিবার সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া। পথে ফেনী ও সীতাকুন্ডে তাঁর গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এতে সংবাদমাধ্যমের গাড়িও হামলার শিকার হয়।

কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানান, জেলায় ঢুকার পর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবপাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান দলীয় নেতাকর্মী। এর মধ্যে চকরিয়ায় মহাসড়কজুড়ের লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। এরপরে সড়কের সব স্থানে স্বাগত জানানো হয়। রামু বাইপাস মোড়ে এক বিশাল স্বাগত শোডাউন হয়। সেখানে কক্সবাজার শহরে ঢুকার পথে রামুর রশিদনগর থেকে টানা স্বাগত শোডাউন দেয় নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে কক্সবাজার কক্সবাজার শহরের সার্কিট হাউজে ঢুকা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে উঠে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

আগামীকাল সোমবার সকাল ১১টায় উখিয়ায় বালুখালি পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বালুখালি-২, হাকিমপাড়া ও শফি উল্লাহকাটা ঢালা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করবেন খালেদা জিয়া। ওই দিন বিকেলে কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তার রাত্রি যাপন করার কথা রয়েছে।

গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রতিদিন নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে ভিড় করছে রোহিঙ্গা সদস্যরা। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদি’ উদাহরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।

বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা এরই মধ্যে ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তাদের বেশির ভাগই ক্যাম্পে বসবাস করছে। এতে এক মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।